বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এমন তথ্য জানিয়ে ভারতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে টেকসই নিরাপত্তায় অর্থনৈতিক সহযোগিতাও কামনা করেন। দুপুরে ভারতের নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিল্লি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেন— বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটের “বাংলাদেশ সম্পর্কিত” অধিবেশনে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী– গেল এক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশের পাশাপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। গেল এক দশকে অর্থনীতির আকার ১৮৮ ভাগ বেড়েছে। আর আগামী এক দশকে ৪৮ ভাগ মানুষ শহরে বাস করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী– বিপুল এই বাজার ধরতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
” এ বছর আমরা রেকর্ড ৮ দশমিক এক শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। ২০০৯ সালের পর বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ১৮৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলারের কাছাকাছি। পূর্ব এশিয়া, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমে চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যবর্তী হওয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এবং ভারতের ব্যবসার অন্যতম ক্ষেত্র হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যসব দেশের মতো বাংলাদেশেরও যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা আত্মবিশ্বাসী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করছে সরকার। তাই এই যাত্রায় সবাইকে পাশে চান সরকার প্রধান।
“অনেক দেশের মতো আমাদেরও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে কিন্তু আমরা জানি কিভাবে চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে পরিণত করতে হয়। সাধারণ মানুষ যাতে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে সেটা নিশ্চিত করায় আমাদের লক্ষ্য। আমরা এ জন্য সবাইকে পাশে নিয়ে কাজ করতে চাই।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্প শুনিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলে টেকসই-শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরো সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।