• Md Munna Ali

    Wednesday, 30 October 2019

    গ্রামীণফোন-রবির পাওনা নিয়ে বিরোধের সুরাহা আদালতে :অর্থমন্ত্রী

    গ্রামীণফোন-রবির পাওনা নিয়ে বিরোধের সুরাহা আদালতে :অর্থমন্ত্রী
    আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: সংগৃহীত
    গ্রামীণফোন ও রবি থেকে বিটিআরসির পাওনা নিয়ে বিরোধের সুরাহা আদালতের মাধ্যমে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
    অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন ও রবির সঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কয়েক দফা বসা হয়েছিল। শুরুতে তাদের বলা হয়েছিল তোমাদের হিসাবে তো কিছু টাকা পাই, সেটা পরিশোধ কর। সেই টাকা না দেওয়াতে আলোচনা এগিয়ে যায়নি। এর আগেই আদালতে মামলা হয়ে গেছে। এজন্য বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বা সুরাহা করতে পারব না, কোর্টের মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। কোর্ট থেকে যেটা হবে সেটা তাদেরও মানতে হবে, আমাদেরও মানতে হবে।
    প্রতিষ্ঠান দুটিতে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করতে হলে হয় কোর্ট নয় আর্বিট্রেশন (মধ্যস্থতা) করতে হয়। এটি আর্বিট্রেশনের অংশ। ছোটো অঙ্কের টাকা হলে নিজেরাই বসে সুরাহা করতে পারতাম কিন্তু এটা অনেক টাকার ব্যাপার। তারাও চায়, কোর্টের মাধ্যমে সুরাহা হোক। আমরাও মনে করি, কোর্টের মাধ্যমে হয়ে গেলে সবার জন্য ভালো হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে আন্তরিকভাবেই এগিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু সে ধরনের সহযোগিতা পাইনি। টাকা দেবে বলে বলে অনেক দিন অপেক্ষা করানো হয়েছে, টাকা তারা দেয়নি।

    অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২০২০ সালে মোট ৪২ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাবের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ৫০ শতাংশ জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং বাকি ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেল উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা হবে। সভায় পল্লী জনপদ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণের পূর্ত কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের মাধ্যমে বাস্তবায়নের ভূতাপেক্ষ (অতীতের ঘটনা সম্পর্কিত) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
    ‘সাকিবকে এক বছর পাব না, এটা দুঃখজনক’
    সাকিব আল হাসানের ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইসিসি কাউকে ছাড় দেয় না, ছাড় দেয়ার উদাহরণ নেই। আইসিসির আইনটি সাকিবের ভালোভাবে জানা ছিল। তারপরও কেন ও এমন করল। সরল ভেবে সাকিব কাজটি করেছে। সাকিবের সার্ভিস এক বছর পাব না, এটা দুঃখজনক। তারপরও আমি মনে করি সাকিব ভালো কাজটি করেছে। সে তার সততার পরিচয় দিয়েছে। সে সত্যি বলেছে। সে আরো একটি কাজ করতে পারত, সে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বলতে পারত। যদিও আইসিসিকে এ বিষয়ে অনুরোধ করলে কতটা লাভ হতো জানি না।